বাংলা সিনেমা জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন অধুনা বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন বিখ্যাত কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী, আসল নাম রমা দাসগুপ্ত।
১৯৫২ সালে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয় 'শেষ কোথায়' সিনেমা দিয়ে, যেটি কখনও মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে তিনি নির্মল দের নির্দেশনায় উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন 'সাড়ে চুয়াত্তর' সিনেমায়, যেটি বক্স অফিস হিট হয়। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তাঁর অভিনয় জীবনের ৬০ টি সিনেমার মধ্যে ৩০ টি সিনেমায় তিনি উত্তম কুমারের সাথে জুটি বাঁধেন। ১৯৫৫ সালে তিনি 'দেবদাস' সিনেমায় 'পারো'র চরিত্রে অভিনয় এর মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন-ও পান। তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলি সহজেই দর্শক ও সমালোচক দের মন জয় করে নিত।
ঈর্ষনীয় সাফল্যের গ্রাফে ভর করে চলা এই অভিনেত্রী শিখর স্পর্শ করেন ১৯৬৩ সালে যখন তিনি ' MOSCOW INTERNATIONAL FILM FESTIVAL' এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান 'সাত পাকে বাঁধা' সিনেমার 'অর্চনা' চরিত্রের জন্য।
১৯৭৫ সালে সঞ্জীব কুমারের বিপরীতে তাঁর অভিনীত সিনেমা 'আঁধি' রাজনৈতিক বাধার কারনে ২০ সপ্তাহ আটকে ছিল। সিনেমাটি ব্যক্তিগত ভাবে আমার খুব পছন্দের।
ব্যস্ত সময়সূচীর কারনে সুচিত্রা সেন, সত্যজিৎ রায়ের 'চৌধুরানী' সিনেমায় অভিনয় করতে প্রত্যাখ্যান করেন বলে সিনেমাটি আর তৈরিই করেননি অস্কারজয়ী এই নির্দেশক।
[ আরও পড়ুন ঃ ভারতের সর্বপ্রথম এবং বর্তমানে প্রবীনতম ভোটার কে জানেন? ]
[ আরও পড়ুন ঃ একটু দেরী, পন্ডিচেরী।]
[ আরও পড়ুন ঃ আন্দামানের ইতিকথা ]
১৯৭৮ সালে দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয় জীবন থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর তিনি আর কখনও জনসমক্ষে আসেননি। এমনকি ২০০৫ সালে ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান ' দাদা সাহেব ফালকে' পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন দিল্লী যাত্রা এবং জনসমক্ষে আসা এড়ানোর জন্য। এছাড়াও তিনি পদ্মশ্রী এবং বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কারও পান।২০১৪ সালের ১৭ই জানুয়ারি আমাদের সকলের প্রিয় মহানায়িকা পরলোক গমন করেন।
প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন।
[ আরও পড়ুন ঃ প্রত্যাখ্যাত শাহেনশাহ্]
[ আরও পড়ুন ঃ'লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন'- কে এই গৌরী সেন?]
[ আরও পড়ুন ঃ ট্রেন-এ শৌচালয় অন্তর্ভুক্তির পিছনে অবদান কার জানেন?]
১৯৫২ সালে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয় 'শেষ কোথায়' সিনেমা দিয়ে, যেটি কখনও মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে তিনি নির্মল দের নির্দেশনায় উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন 'সাড়ে চুয়াত্তর' সিনেমায়, যেটি বক্স অফিস হিট হয়। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তাঁর অভিনয় জীবনের ৬০ টি সিনেমার মধ্যে ৩০ টি সিনেমায় তিনি উত্তম কুমারের সাথে জুটি বাঁধেন। ১৯৫৫ সালে তিনি 'দেবদাস' সিনেমায় 'পারো'র চরিত্রে অভিনয় এর মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন-ও পান। তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলি সহজেই দর্শক ও সমালোচক দের মন জয় করে নিত।
ঈর্ষনীয় সাফল্যের গ্রাফে ভর করে চলা এই অভিনেত্রী শিখর স্পর্শ করেন ১৯৬৩ সালে যখন তিনি ' MOSCOW INTERNATIONAL FILM FESTIVAL' এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান 'সাত পাকে বাঁধা' সিনেমার 'অর্চনা' চরিত্রের জন্য।
১৯৭৫ সালে সঞ্জীব কুমারের বিপরীতে তাঁর অভিনীত সিনেমা 'আঁধি' রাজনৈতিক বাধার কারনে ২০ সপ্তাহ আটকে ছিল। সিনেমাটি ব্যক্তিগত ভাবে আমার খুব পছন্দের।
ব্যস্ত সময়সূচীর কারনে সুচিত্রা সেন, সত্যজিৎ রায়ের 'চৌধুরানী' সিনেমায় অভিনয় করতে প্রত্যাখ্যান করেন বলে সিনেমাটি আর তৈরিই করেননি অস্কারজয়ী এই নির্দেশক।
[ আরও পড়ুন ঃ ভারতের সর্বপ্রথম এবং বর্তমানে প্রবীনতম ভোটার কে জানেন? ]
[ আরও পড়ুন ঃ একটু দেরী, পন্ডিচেরী।]
[ আরও পড়ুন ঃ আন্দামানের ইতিকথা ]
১৯৭৮ সালে দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয় জীবন থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর তিনি আর কখনও জনসমক্ষে আসেননি। এমনকি ২০০৫ সালে ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান ' দাদা সাহেব ফালকে' পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন দিল্লী যাত্রা এবং জনসমক্ষে আসা এড়ানোর জন্য। এছাড়াও তিনি পদ্মশ্রী এবং বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কারও পান।২০১৪ সালের ১৭ই জানুয়ারি আমাদের সকলের প্রিয় মহানায়িকা পরলোক গমন করেন।
প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন।
[ আরও পড়ুন ঃ প্রত্যাখ্যাত শাহেনশাহ্]
[ আরও পড়ুন ঃ'লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন'- কে এই গৌরী সেন?]
[ আরও পড়ুন ঃ ট্রেন-এ শৌচালয় অন্তর্ভুক্তির পিছনে অবদান কার জানেন?]