কেন হল এরকম নামকরন? পাথুরিয়াঘাটা নামকরনের পিছনে কারন কি ছিল? - দেখবো এবার জগৎটাকে (Dekhbo ebar jogot-ta-ke: A Bengali Blog)

Dekhbo Ebar Jogot-ta-ke is a bengali blog about some unknown interesting facts

WE ARE RECRUITING CONTENT WRITER. CONTACT: 7003927787

Wednesday, October 24, 2018

কেন হল এরকম নামকরন? পাথুরিয়াঘাটা নামকরনের পিছনে কারন কি ছিল?

আজ পর্যন্ত নানারকম বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি,চেষ্টা করেছি অজানা তথ্যের সন্ধানকে যতটা সম্ভব বহুমুখী করার। আজ তাই একটু অন্যরকম বিষয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছি ।
          আমাদের চারপাশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যার নামকরণের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক না জানা ইতিহাস।অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে আমরা প্রায় রোজ যাওয়াআসা করি ,কিন্তু সেখানকার নামটা ওরকম কেন হল আমরা কি কখনও ভেবে দেখি? এমনকি যেখানে আমরা থাকি সেখানকার নামকরণের কারণ কি আমাদের জানা?
‘বউবাজারে কি বউ পাওয়া যায়? উল্টোডাঙা কি সত্যি ই উল্টো’, সেসব আলোচনা আজকের মতো থাকুক।আজ আমরা যেই জায়গার ইতিহাস নিয়ে জানবো সেটি হল পাথুরেঘাটা বা পাথুরিয়াঘাটা। 




    উত্তর কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বনেদীপাড়া হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চল। ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে ঠাকুরবাড়ী ,এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবার ছিল যেমন ঘোষ পরিবার ,মল্লিক পরিবার। একাধিক বনেদী পরিবারের বাস থাকা সত্ত্বেও ,প্রদীপের তলার অন্ধকারের মতো এখানে গজিয়ে ওঠে পতিতালয় ।কিনতু এই অঞ্চলটি শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় তাদের ব্যবসার পক্ষে মোটেই সুবিধাজনক ছিল না।তাই তাঁরা আবেদন করেন শহরের বাইরে ঘেরাটোপের মধ্যে যেন তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় ।পতিতা উদ্ধারিনী সভার সভাপতি রাজা নবকৃষ্ণ এই আবেদনে সাড়া দিলেন।কিনতু আপত্তি উঠল এক শ্রেণীর পণ্ডিতদের মধ্যে। তাঁরা আশঙ্কা করলেন পতিতাদের শহরের বাইরে চালান করলে রোগ ছড়াবে সর্বত্র,তার চেয়ে বরং তারা এখন যেভাবে আছে সেরকমই থাক।
পাথুরিয়াঘাটা ঠাকুরবাড়ি

তৎকালীন নগরপাল বিধান দিলেন,পতিতারা পাড়ার মধ্যেই থাকবে,কিনতু ভদ্রবাড়ীর সাথে পতিতাবাড়ির পার্থক্য থাকাটা জরুরী। ঠিক হল পতিত বাড়ির বাইরে থাকবে পাথর ,এতে পায়ের ছাপ পড়বে না।বাকি অন্যান্য বাড়ির সামনে টা থাকবে কাঁচা।সেই থেকে অঞ্চলটার নাম হয়ে গেল পাথুরিয়াঘাটা।



ঠাকুর দুর্গ


ঘোষ বাড়ি

কথিত আছে পৌরাণিক অহল্যা ছিলেন প্রস্তরীভূত, শ্রীরামচন্দ্রের পবিত্র পাদস্পর্শে অহল্যার মুক্তি ঘটে।
পতিতারা অহল্যার পূজা করেন। পতিতাগৃহের বাইরে তাই পাথর থাকা সুলক্ষণ বলে গণ্য করা হত।
জানা যায়, তখনকার দিনে দুর্গাপ্রতিমা তৈরীতে ব্যবহৃত পতিতালয়ের মৃত্তিকা এখান থেকে সরবারহ করা হত।  

 প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন। এইরকম প্রতিবেদন আমাদের ব্লগে লেখার জন্যে যোগাযোগ করুন dejogot@gmail.com




[ আরও পড়ুন ঃ আন্দামানের ইতিকথা ]

No comments:

Post a Comment